About us

আমাদের সম্পর্কে

জেনেটিক হোমিওপ্যাথি একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি

যা আল্লাহর গোলাম দার্শনিক, বায়োকেমিস্ট, হোমিওপ্যাথ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, পুষ্টিবিদ ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার ডা. মোঃ ইকবাল হোসেনকে দান করেছেন।

Dr. Md Iqbal Hossen

Dietician and Genetic Homeopath

Dietician-Genetic-Homeopath-Dr.-Md.-Iqbal-Hossen

এটা তাঁর দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত অক্লান্ত পরিশ্রম ও গবেষণার ফল।

হাজারো জটিল রোগীর প্রকৃত আরোগ্য তথা শারীরিক কষ্টগুলো ছাড়াও একই সাথে মানসিক ,সামাজিক অতিদ্রুত পরিবর্তন বিস্ময়কর। এটাই সত্যিকারের স্বাস্থ্য পুনঃরুদ্ধার যা – In 1948 the World Health Organization (WHO) defined health as “a state of complete physical, mental and social well-being and not merely the absence of disease and infirmityঅর্থাৎ প্রকৃত স্বাস্থ্য হচ্ছে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে ভালো থাকা শুধুমাত্র কথিত রোগ বা দুর্বলতার অনুপস্থিতিই নয়।– সংজ্ঞায় বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ১৯৪৮ সাল।

জেনেটিক হোমিওপ্যাথির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

লক্ষ্য

জেনেটিক হোমিওপ্যাথির একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে: ক্ষতিকর মিউটেশন হওয়া জিনগুলো স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা এবং নিরপেক্ষ ও উপকারী জিনের সাহায্যে সমস্ত মানব দেহস্থ কোষকে ক্ষতিকর জিন (Harmful /mutation Gene) এর নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করে প্রকৃত স্বাস্থ্য তথা সামাজিক, মানসিক ও শারীরিক সুস্থ্যতায় ফিরিয়ে আনা।

উদ্দেশ্য

যেকোনো রোগ ভবিষ্যৎ দূরারোগ্য রোগের কারণ বা ক্ষতি ছাড়াই মানুষটির নিজের ইমিউনিটি দ্বারা দ্রুত আরোগ্য ও ইমিউনিটি শক্তিশালী করা।

উপরোক্ত লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নিষেধাজ্ঞা সমুহ

ইউনানী-কবিরাজি-হোমিওঃ জ্বর/ঠান্ডা-কাশি/শ্বাসকষ্ট/ব্যথার/চর্মরোগ-চুলকানি /গ্যাসের ঔষধ খাওয়া-ব্যবহার নিষিদ্ধ।
[দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো ঔষধ (প্রেসার, সুগার, এলার্জি, এসিডিটি, থাইরয়েড, ব্যথা…ইত্যাদি) চালু থাকলে পরামর্শ করে বন্ধ করতে হবে]।

সারাজীবন স্মরণীয়

►►আমাদের Genetic Medicine বহু বছর ক্রিয়ারত থাকবে (যদি শক্তিকৃত প্রচলিত হোমিও খাওয়া বা ব্যবহার না করেন) এবং রোগীর সমস্ত মানসিক,শারিরীক ও সামাজিক অসুস্থতা দূর করতে ক্রিয়ারত থাকবে। পুর্বে হয়েছিল এমন রোগ দেখা দিলে উক্ত ঔষধেই দ্রুত আরোগ্য হবে ইনশাআল্লাহ! Inflammation, Free-Radical, Reactive Oxygen Species, Insulin Resistance, Auto-immunity কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্থায়ীভাবে শক্তিশালী করতে ধৈর্য্য ধরুন। 

৬ মাস পর ইনশাআল্লাহ নিজেই অনুভব করতে পারবেনঃ অসুস্থতার উত্তেজক ও পরিপোষক কারণসমূহ দ্বারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হওয়ায় (এ বিষয়ে Genetic Homeopathy বই ও লিফলেট দেখুন) অসুস্থ হবেন কিন্তু বুঝতেই পারবেন না শুধুমাত্র শরীর-মন ২-৩ দিন খারাপ লাগলেও দৈনন্দিন কাজে তেমন ব্যাঘাত ঘটবে না ইনশাআল্লাহ। অর্থাৎ ইমিউনিটি অন্যের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হয়েছে রোগ আক্রমণ করলেও ঔষধ ছাড়াই দ্রুত আরোগ্য হয়ে যাচ্ছেন অথচ বুঝতেই পারছেন না শুধুমাত্র ২-৩ দিন একটু শরীর মন খারাপ লাগা ছাড়া।
ইমিউনিটি স্থায়ী রাখতে GMR দিনে বা সপ্তাহে অন্তত ১বার হলেও খাওয়ার চেষ্টা করবেন যতদিন /মাস/বছর শরীরের জন্য প্রয়োজন হবে। - এক্ষেত্রে জেনেটিক হোমিওপ্যাথ সিদ্ধান্ত নিবে কখন খাবে বা বন্ধ।

►►ইমার্জেন্সিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে,শুধুমাত্র ১-২ দিন এলোপ্যাথি ঔষধ (Allopathic Medicine) নগণ্য পরিমাণ খাবেন অর্থাৎ পূর্বে 500mg খেলে 150mg বা ২-৪ ভাগের ১ভাগ; (আমাদের চিকিৎসা নেওয়ার কারণে ইমিউনিটি শক্তিশালী হচ্ছে, এজন্য অল্প ঔষধেই ৩-৪গুণ দ্রুত কাজ করবে। এলোপ্যাথিক ঔষধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল এলোপ্যাথিক বিষাক্ত ড্রাগস ইমিউনিটি নষ্ট করতে থাকে।)

▬[বিঃ দ্রঃ অতিজুরুরী অবস্থায় যেকোনো এলোপ্যাথিক ঔষধ ৩ দিনের বেশি গ্রহণ নিষিদ্ধ। এলোপ্যাথিক ঔষধ গ্রহণের ফলে ঘটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কাটাতে কয়েক ডোজ GMR ঔষধ অন্তত ৩দিন ৩বেলাতেই খাবে। এলোপ্যাথিক ঔষধ বিশেষত এন্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল– দুর্বলতা, অরুচি,শুকিয়ে যাওয়া,এসিডিটি,এলার্জি/চুলকানি, শ্বাসকষ্ট-কাশি,জ্বর,স্মৃতিশক্তির সমস্যা বা যৌন দুর্বলতা ইত্যাদি যেকোনো দুই বা ততোধিক সমস্যা।]

Genetic Medicine ছাড়া অন্যান্য সকল ঔষধ হজম হয়; এরপর রক্তের সাথে মিশে শরীরের সমস্ত জায়গায় গিয়ে উপশম হলেও বহু ক্ষতিও করবেই। (অবশ্যই কিডনি,লিভার,পেট এবং ব্রেইনের ক্ষতি করবে)।  

একমাত্র আমাদের Genetic Medicine-ই ক্ষতিহীনভাবে Mutate Genes ঠিক করতে  কাজ করে; ফলে অতিদ্রুত গতিতে Immunity শক্তিশালী করে শরীর নিজেই তার Defense System দ্বারা রোগ আরোগ্য করছে। আমাদের জেনেটিক ঔষধ ছাড়া অন্য ঔষধে রোগ আরোগ্য হয় না বরং রোগটি চাপা দিয়ে জটিল আরেকটি রোগের সূচনা করে সাময়িক উপশম হয়; এটা মানসিক-সামাজিক সমস্যা তথা রাগ,যিদ,অস্থিরতা ইত্যাদি হিসেবে সেই সাথে হয়ত কাজে অনিচ্ছা,অলসতা,এসিডিটি ,অল্প ক্লান্তি-দুর্বলতা যা মানুষটির কাছে প্রায় গুরুত্বহীন Inflammation, Free-Radical, Reactive Oxygen Species, Insulin Resistance, Auto-immunity কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্থায়ীভাবে শক্তিশালী করতে ৪-৬মাস ধৈর্য্য ধরুন। 

►►Genetic Medicine সেবনের ১০-৩০ দিনের মধ্যে পূর্বে হওয়া ও বর্তমান রোগের পিছনে মূল দায়ী রোগটি দেখা দিবে অর্থাৎ ৬ষ্ঠ সপ্তাহ পর্যন্ত কিছু কষ্ট updown করতে থাকে। এসময় কয়েকদিন ঔষধ কখনো কম কখনো বেশি লাগতে পারে ।

জেনেটিক হোমিওপ্যাথি (Genetic Homeopathy) আল্লাহ প্রদত্ত মানবজাতির প্রতি বিশেষ রহমত।

►►ইনশাআল্লাহ, আমাদের চিকিৎসার কয়েক মাস পর থেকেই শরীর-মন খুবই ভাল লাগার পরের দিন/বেলা থেকে ১-৫ দিন শরীর খারাপ লাগবে কিন্তু দৈনন্দিন কাজে তেমন ব্যাঘাত ঘটবে না ইনশাআল্লাহ। কারণ আমরা অসুস্থতার উত্তেজক ও পরিপোষক কারণসমূহ দ্বারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত। (এ বিষয়ে ২য় লিফলেট দেখুন)

জেনেটিক হোমিওপ্যাথি এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনা

জেনেটিক হোমিওপ্যাথি প্রচলিত সকল প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি হতে ভিন্ন। নিম্নে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো-

১) এটি জিনভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। অন্যান্য চিকিৎসা রোগ বা লক্ষণসমষ্টি বা প্যাথলজি ভিত্তিক চিকিৎসা।

২) সক্রিয় (Active) এবং অতিসক্রিয় ক্ষতিকর (Overactive) জিনগুলো স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় এবং উপকারী জিনগুলো অতিসক্রিয় করাই লক্ষ্য উদ্দেশ্য। ইমিউনিটি শক্তিশালি হওয়ার পাশাপাশি প্যাথলজিও যাবে। অন্যান্য পদ্ধতিতে শুধুমাত্র লক্ষণসমষ্টি বা প্যাথলজি দূর করাই উদ্দেশ্য।

৩) জেনেটিক হোমিওপ্যাথিতে জেনেটিক ভাবে  অসুস্থতা মুক্ত হয়ে শারীরিক মানসিক ও সামাজিকভাবে প্রকৃত সুস্থ হয়। অন্যান্য প্যাথিতে সাময়িক উপশম বা চাপা পড়ে ক্ষতিকর জিনগুলোর Activity আরও বেড়ে ভবিষ্যৎ দুরারোগ্য রোগ জটিল করে।

৪) এই চিকিৎসায় জেনেটিক কারণকেই মূল কারণ হিসেবে এবং অন্যান্য Agent, Environment, Age, Sex ইত্যাদিকে উত্তেজিত কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্যান্য প্যাথিতে শুধুমাত্র Agent, Environment, Age, Sex এগুলোকেই প্রাধান্য দিয়ে চিকিৎসা।

৫) এখানে প্রত্যেক মানুষের চিকিৎসায় জেনেটিক হোমিওপ্যাথির বিশেষ নিয়ম অনুযায়ী জেনেটিক সাদৃশ্যে সুনির্দিষ্ট ঔষধ ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য প্যাথিতে রোগ বা লক্ষণ সমষ্টি বা প্যাথলজির উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

৬) জেনেটিক হোমিওপ্যাথি  চিকিৎসাকালে “উপর নিচ,ভিতর বাহির, গুরুত্বপূর্ণ থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ” এই নিয়মে বিশেষত  Herings Law of Cure অনুসরণ করে। প্যাথলজির পাশাপাশি মন-মেজাজ, ঘুম, পায়খানা, সামাজিকতা পর্যালোচনা করে চিকিৎসা এগিয়ে চলে। অন্য চিকিৎসায় শুধুমাত্র প্যাথলজি বা রোগ লক্ষণের ভিত্তিতে চিকিৎসা এগিয়ে চলে।

৭) জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সুনির্দিষ্ট পুর্বনির্ধারিত নিয়মে ঔষধ নির্বাচন করা হয় যাতে  ভুল  হবে না ইনশাআল্লাহ।  অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রায়ই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারাও ভুল ঔষধ নির্বাচিত হতে দেখি।

৮) জেনেটিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় Acute & Chronic Diseases-এর আলাদা কোন চিকিৎসা করতে হয় না। অন্যান্য চিকিৎসায় Acute & Chronic Diseases-এর চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন।

৯) সমস্ত রোগের চিকিৎসা সম্ভব তবে রোগের জন্য নির্দিষ্ট বিভাগ এবং বিশেষজ্ঞ নেই। যেমন কার্ডিওলজিস্ট, সাইকিয়াট্রি, অর্থোপেডিক্স etc.

১০) এখানে ব্যবহৃত ঔষধ এতটাই শক্তিশালি যে শরীরের সংস্পর্শ আসা মাত্রই ক্রিয়াসম্পন্ন করতে অত্যন্ত অল্প সময় লাগে।

১১) শয়ারীরিক,মানসিক,সামাজিক শত সমস্যা/কষ্ট/রোগ থাকলেও আলাদাভাবে কোনো চিকিৎসা করতে হয় হয় না। অর্থাৎ All in One। আর আমাদের চিকিৎসার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পূর্বেই বর্ণনা করা হয়েছে।

অনুধাবন করুন!

একটি মানুষ তাঁর জীবন শুরু করেন একটি মাত্র কোষের (Zygote) মাধ্যমে। Zygote প্রকৃতপক্ষে একটি মানবদেহের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ, যার মধ্যে এক কোষীয় পরবর্তী অবস্থার সমস্ত Program করা থাকে। ফলে গর্ভে একটি কোষ ধীরে ধীরে মানব শিশুতে পরিণত হয় এবং মায়ের দেহের বাইরে এসে উক্ত Program অনুযায়ী দৈহিক গঠন এবং মানসিকতা পূর্ণতা পায়। কিন্তু এককোষী Zygote-এ না ছিল Heart, lung, brain, kidney, liver ইত্যাদি এবং ছিল না রাগ, দুঃখ, আনন্দ, ঘৃণা ইত্যাদি; কিন্তু ছিল তার Zygote মধ্যে সবকিছুর Programming। Zygote এর মধ্যে থাকে ২৩টি chromosomes (22 + x অথবা 22 + y) বাবার শরীর থেকে এবং ২৩টি chromosomes (22 + x) মায়ের শরীর থেকে, মোট ৪৬টি ক্রোমোজোম যার মধ্যে ২২ জোড়া Autosome এবং এক জোড়া Sex chromosome (XY). Chromosome এ থাকে জিন (gene)-যা কিনা বংশগতির ধারক এবং বাহক। এই জিনগুলো DNA এর মধ্যে সাজানো থাকে; জিনগুলি প্রকট (Dominant),সুপ্ত(Recessive) দুইটি অবস্থায় আমাদের মধ্যে থাকে। ক্ষতিকর বিকৃত জিনগুলোর (Mutate Genes) কারণে আমরা –

১) Non communicable Diseases/অসংক্রামক দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হই। যেমন- থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনী ড্যামেজ, অটিজম, নিউরোলজিক্যাল বিভিন্ন রোগ …ইত্যাদি। যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা শুধু অবাক হচ্ছে নিজের হাতে কামানো mutate Gene কী ভয়ংকর? অথচ একটু চেষ্টা করলেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিন্তু ঔষধ (drugs) ইন্ডাস্ট্রি না থাকলে আপনারা অসুস্থ(দূরারোগ্য রোগী) হবেন কিভাবে?

২) আজকের এই সভ্য আধুনিক যুগেও এই যে communicable Diseases ,মহামারী আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া অথচ এত সতর্ক।  তাহলে কেন? কারণ আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল। আবার communicable Diseases গুলো থেকে যখন তথাকথিত আরোগ্য বলে ঘোষিত হয়; এরপর থেকেই বিভিন্ন Non communicable Diseases প্রকাশ পেতে থাকে। মানুষটি অনেক সাবধানী হয়েও এ থেকে মুক্তি পায় না। কারণ ঐ রোগটি আসলে আরোগ্য হয় নি বরং ভাল ও খারাপ দুধরনের এন্টিবডিই তৈরি হয়েছে আর ক্ষতিকর জিনগুলো সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রকট হচ্ছে। মনের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা-অবস্থা বিকৃত হচ্ছে আর ধীরে ধীরে সেটাও অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে এবং কিছুতেই ছাড়তেও পারে না ।  

৩) অসুস্থ থেকে ঔষধ  ছাড়া দ্রুত সুস্থ হতে পারি না অর্থাৎ~ আমাদের Immune System ঠিকঠাক কাজ করে না। এমনকি একসময় অটোইমিউনিটি (autoimmunity) তৈরি হয় যেটা ভয়ংকর। যেমনঃ ক্যান্সার,আর্থাইটিস ইত্যাদি। এলার্জী,এসিডিটি ভয়ংকররুপে! এলার্জী মানে আপনার ইমিউনিটির তেরোটা বেজে আছে! আর এসিডিটি মানেই হচ্ছে আপনার ইমিউনিটি অত্যন্ত দুর্বল প্রায় ৭০%। এই কথাগুলো তো আমার বানানো নয় বরং ইমিউনোলজির বিখ্যাত পন্ডিতরাই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাসহ আমাদের জানিয়েছেন। এদিকে এন্টিবায়োটিক নামক ইমিউনিটি নষ্টকারি ক্ষেপণাস্ত্র আজ মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে। ইমিউনিটি বুস্টার নামেও চটকদার বিজ্ঞাপনে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ঢুকিয়ে অজ্ঞতায় মরীচিকাকেই জলাশয় ভাবছে। ইমিউনিটি ঠিক করতে দরকার জেনেটিক হোমিওপ্যাথি ঔষধ দিয়ে শত্রুর সাথে লড়াই করানো ও শরীরের নিজস্ব চাহিদা পূরণ করা।

৪) মানুষের হরমোনের (Hormone) ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় কৃত্রিম হরমোন নিতে হচ্ছে , আর স্বাভাবিকভাবেই নিয়ময়ানুযায়ী ঐ হরমোনজনিত কষ্টের সাময়িক উপশম হলেও শরীরের অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। ফলে কিছুকাল পরে একূল ওকূল দু’কূল হারিয়ে মানুষটি দিশেহারা। লাইফস্টাইল চেঞ্জ করে ,খুব সতর্ক চলেও স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনা এবং টিকিয়ে রাখা যায় না।

দেখুন সমাজের চিত্র! হিজড়া/ কথিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ক্রমাগত বাড়ছে জেনেটিক ত্রুটির কারণে। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রম আজ ঘরে ঘরে ,মহিলারা মুখ দেখাতে পারে না লজ্জায় কারণ তাদের দাড়ি মুচ! ছেলে হয়ে জন্মালেও মেয়ের মত আচরণ/ মেয়ের প্রতি আকর্ষণ অনুভব না করে বরং ছেলের প্রতি আকর্ষণ (Gay)! ঠিক উল্টাও আছে(Lesbian)! Gynecomastia: পুরুষ হয়েও কী যন্ত্রণা,কাউকে বলা যায় না। সার্জারী করে হয়ত স্তন ঠিক করা গেল কিন্তু এর পিছনের কারণ কে দুর করবে? যৌন দুর্বলতা/বিকৃতি তো বাদই দিলাম। asexual বলে একটা কথা আছে, যেখানে যৌন ইচ্ছাই বিলুপ্ত হয় – এশ্রেণির সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। আরোও কত হরেকরকম ব্যাপার “Endocrine system”-ই জিনের খেলা!

৫) বৃদ্ধ বয়সের রোগ অকালে দেখা যাচ্ছে। যেমন– ডায়াবেটিস ,রক্তচাপ,লিভার সমস্যা,কিডনি সমস্যা,হার্টের সমস্যা,চোখের দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা, প্যারালাইসিস,আলজেইমার-পারকিন্সনের মত নিউরোলজিক্যাল ডিজিজ..ইত্যাদি। সুপ্ত ক্ষতিকর জিন প্রকট করার জন্যই হচ্ছে না!

৬) শিশুদের অবস্থা দেখুন। জেনেটিক ডিজিজ- থ্যালাসেমিয়া,জন্মগত রক্তস্বল্পতা,ডায়াবেটিস,এজমা,হার্ট লিভার সমস্যা। এতো ছোট বয়সে genetic এর ভুমিকা কোন রোগের পিছনে নেই? ১২ বছর বয়স পর্যন্ত brain develop হয় , এই বয়সের পূর্ব পর্যন্ত সচেতন মন পরিপূর্ণ হয় না। এই বয়সে এলোপ্যাথি ,হোমিও,কবিরাজি,ইউনানী ইত্যাদি ঔষধ কোন রোগের জন্য খাওয়ানো ভয়ংকর; না বুঝলেও দেহঘড়িতে সারাজীবন এর প্রভাব চলতেই থাকে। শুধুমাত্র ‘জেনেটিক হোমিওপ্যাথি জিন ঠিক করতে সাথে রোগের উত্তেজক ও পরিপোষক কারণ’ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 

৭) সন্ত্রাসী, লোভী, অহংকারি, হিংসুক, রাগ, হতাশাগ্রস্থ, নেশাআসক্তিসহ সব খারাপগুণ অভ্যাসে পরিণত হতে mutate gene-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

অসুস্থতার কারণ সমূহ দুই রকমের

১। fundamental cause /মৌলিক প্রধান কারণ: আমাদের মধ্যে থাকা Mutate/Harmful Gene

exciting and maintaining cause ( উত্তেজক এবং পরিপোষক কারণ):  অখাদ্য-কুখাদ্য-অতিখাদ্য গ্রহণ,বিভিন্ন microorganism তথা ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া-ফাংগাস -প্যরাসাইটস, বয়স ,লিংগ,রেডিয়েশন,বিভিন্ন ঔষধ নামক ড্রাগস-কেমিক্যাল,কীটনাশক, শারিরীক-মানসিক আঘাত,বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষণ (কলকারখানার ধূলাবালি-বর্জমিশ্রিত পানিবায়ু),স্যাঁতসেঁতে–সূর্যালোক ও বিশুদ্ধবায়ুহীন আবদ্ধ বাসস্থান ইত্যাদি।

DNA-1
DNA-2

অনুধাবন করুন!

সুস্থ্য থাকার জন্য একজন ডাক্তারের কাছে গেলে  কিছু ঔষধ দিয়ে বলবে continue করেন ভাল থাকবেন কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঔষধ ঝুলিতে যোগ হতেই থাকে / কিছুদিন ভাল থেকে আরোও বেশি খারাপ / শারিরীক কিছু কষ্ট উপশম কিন্তু মেজাজ (temperament) এবং সামাজিক অসুস্থতা বৃদ্ধি হয়।

একজন সাইকোথেরাপিস্ট বা সাইকিয়াট্রির কাছে গেলে কিছু ঔষধ ও সেশন করাবে। হয়ত কিছুদিন/মাস/বছর একটু ভাল থাকবেন কিন্তু আবার আস্তে আস্তে আগের থেকে বেশি হবে। ভিতরে ভিতরে জটিল প্যাথলজি গ্রো করে কিন্তু বুঝতে কম বেশি সময় লাগে। (Drugs উলটা নিজেই gene mutation ঘটায়)

একজন আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় গুরুর কাছে গেলে বলবেঃ দুনিয়া ছেড়ে ধ্যান/মেডিটেশন/মুরাকাবা আর ধর্মীয় রীতি কঠিন অনুসরণ করতেই সুস্থ্য হবেন। কিছু Mutate Dominant Gene সম্মোহন বা স্টিমুলেশন দ্বারা সাময়িক Recessive হবে। (বিঃদ্রঃ আমরা সর্বদা বিশ্বাসী আল্লাহই একমাত্র আরোগ্যকারী।)

ফিজিওথেরাপিস্ট/ব্যায়াম প্রেমী বলবে এটাই সুস্থ্য রাখবে। হ্যাঁ! সাময়িক কিছু দিনের জন্য ভাল অনুভব করবেন ফিজিক্যালি কিন্তু একটা সময় পর যা তাই!

একজন রক্তক্ষরণকারক/হিজামা/সিংগা/আকুপাংচার ব্যবসায়ী বলবে এটাই সমস্ত রোগ আরোগ্য দিবে। এটাও সত্য নয় বরং কিছু দিন/মাসের জন্য উপশম।

একজন Dietician /Nutritionist এর কাছে গেলে আপনাকে ক্যালরি, ভিটামিন,মিনারেল,কার্বোহাইড্রেট আর প্রোটিনের একগাদা লেকচার শুনাবে। কিছু বাদ দেওয়া আর কিছু খাবার খাওয়াই যেন আরোগ্য!!! কিন্তু বাস্তবতা কতটুকু? মানতে পারবেন কতদিন? না মানতে পারলে বা অনিয়ম করলে তখন কি হবে?

উত্তরঃ  উপশম পাবেন: কিন্তু অনিয়মে দ্বিগুণ গতিতে পূর্বের অবস্থা হবে কিন্তু কেন?

স্থায়ীভাবে প্রকৃত সুস্থ হওয়ার ও থাকার ৫ টিসূত্র
পুষ্টিবিদ ও জেনেটিক হোমিপ্যাথ মোঃ ইকবাল হোসেন

১) আমরা প্রত্যেকেই বংশসূত্রে এবং নিজেদের অর্জিত Dominant অথবা Recessive Mutate Gene  অবশ্যই বহন করছি। অজ্ঞতায় নিজেরাও ক্ষতিকর জিন প্রকট ও কিছু জিন বিকৃত করছি। এটাই অসুস্থতার Fundamental Cause বা মূল কারণ। এটার চিকিৎসা শিশু হতে বৃদ্ধ সকলের জন্য আবশ্যক। এছাড়া উপশম থাকবেন নিচের নিয়ম গুলো মেনে কিন্তু স্থায়ী হবে না বরং নিয়মের অনিয়ম করলেই পূর্বের অবস্থা  হবে। এই কাজটি করবে আমাদের জেনেটিক হোমিওপ্যাথি (Genetic Homeopathy)।

২) আল্লাহর উপর  ভরসা,ভাগ্যে বিশ্বাস,পরকালের জবাবদিহিতার ভয়। – যা দ্রুত মানসিক দুঃশ্চিন্তা,হতাশা,অস্থিরতা কমায়।

৩) খাদ্য ও পুষ্টির সাধারণ নিয়মঃ দেহকে সুস্থ রাখতে শরীরে প্রায় ৮০% ক্ষার ( Alkaline) এবং প্রায় ২০% অম্ল (Acidic) থাকা জরুরী।  এ কারণে ক্ষার জাতীয় খাদ্য বেশী এবং অম্ল জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া প্রয়োজন।

৪) পর্যাপ্ত ঘুমানো (অন্তত ৬-৮ ঘন্টা) ও পানি পান (২.৫-৪ লিটার) এবং বেশি বেশি ছিয়াম (রোযা/Fasting) রাখার চেষ্টা করুন।

৫) নামাজ,হালকা ব্যায়াম ও সূর্যালোকে হাঁটাহাঁটি/হালকা দৌড় এবং কুর’আন তিলাওয়াত করুন।  

ইনশাআল্লাহ,আমাদের জেনেটিক মেডিসিন আপনার জন্য সুনির্বাচিত ,  রোগ যতই দূরারোগ্য ,জটিল ও কঠিন হোক আরোগ্য হবে। পৃথিবীর সকল চিকিৎসা পদ্ধতিতে আপনার রোগ আরোগ্য অযোগ্য হলেও জেনেটিক হোমিওপ্যাথিতে আল্লাহ ইচ্ছা করলে আরোগ্য হবে।

Alert: You are not allowed to copy content or view source !!