Genetic Medicine Regulator (GMR)
প্রশ্ন: স্যার আপনিই তো বলেন, আমাদের Genetic Medicine (GM) যখন দেওয়া হয় সেদিন থেকেই কোনো ঔষধ প্রয়োজন নেই। এমনকি নিয়মিত সেবন করতে দেওয়া Genetic Medicine Regulator (GMR) এটাও প্রয়োজন নেই বরং ইমিউনিটি নিজে নিজেই সারিয়ে তুলবে?
আবার কখনো বলেন, প্রতিদিন ১বার অথবা সপ্তাহে অন্তত ১-২ বার GMR প্রত্যেকেরই খাওয়া উচিত?
উক্ত বক্তব্য পরস্পর বিপরীত-এর ব্যাখ্যা কি?
উত্তর: বাহ্যিকভাবে উপরোক্ত দুইটি মন্তব্য পরস্পর বিরোধী কিন্তু আসলে কোন বিরোধিতা নেই। বরং একটি আরেকটির ব্যাখ্যা। আপনি প্রত্যেকটি বিষয়েই যে নিয়ম-কানুন আইন তৈরি করা হয় সেখানেই বাহ্যিকভাবে এরকম কিছু পরস্পর বিরোধী বিষয় দেখতে পাবেন।
তেমনিভাবে সবার জন্য সাধারণভাবে অবশ্যই জেনে রাখা দরকার-
আমাদের Genetic Medicine (GM) যখন দেওয়া হয় সেদিন থেকেই কোনো ঔষধ প্রয়োজন নেই। এমনকি নিয়মিত সেবন করতে দেওয়া Genetic Medicine Regulator বা GMR এটাও প্রয়োজন নেই বরং ইমিউনিটি নিজে নিজেই সারিয়ে তুলবে।–
কিন্তু সকল মানুষের রোগ, ইমিউনিটির অবস্থা, পরিবেশ-পরিস্থিতি -অর্থনৈতিক-পারিবারিক -সামাজিক অবস্থান এক নয় অথচ এই বিষয়গুলো প্রতিটি আমাদের Health বা স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। একজন Genetic Homeopath ঠিক করবেন: কখন? কার জন্য ? কতটুকু? কিভাবে GMR দিতে হবে নাকি বন্ধ থাকবে? রোগী নিজে নিজে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না বরং তিনি মাঝেমধ্যেই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন।
এর বিপরীতে রোগী যদি নিজেই সিদ্ধান্ত নেন তাহলে সাধারণত ভুল করেন। “বিশ্বাস-আস্থা-ধৈর্য ধরতে পারলে GMR প্রয়োজন নেই! এই কথাটিও মূলত আপেক্ষিক কেননা প্রত্যেকেই মনে করে আমিই সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস-আস্থা-ধৈর্য ধারণ করতে পারি এবং করছি”।
এটাই সত্য! যখন কেউ চিকিৎসা নিতে আসে তখন কমবেশি চিকিৎসকের প্রতি বিশ্বাস আস্থা নিয়েই চিকিৎসা নিতে আসে।
আমরা প্রতিনিয়ত রোগের উত্তেজক ও পরিপোষক কারণ দ্বারা আক্রান্ত। এছাড়া GM দেওয়ার পর শরীরে প্রতিনিয়ত ইমিউনিটি নষ্ট করার পক্ষে কাজ করা শত্রুর সাথে কম বেশি যুদ্ধ চলমান। যেন ভবিষ্যৎ দুরারোগ্য রোগ প্রতিরোধ হয় আর ইমিডিটি শক্তিশালী থাকে। ঠিক এই সময় মাঝেমধ্যেই উত্তেজক ও পরিপোষক কারণের বিরুদ্ধে ইমিউনিটির অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এ সময় শরীরে সামান্য কষ্টগুলো অনুভব হয়। যদি GMR চিকিৎসকের পরামর্শে অন্তত সপ্তাহে ১-২দিন নিয়মিত চালু রাখা যায় তাহলে অতি অল্প সময়ে এবং কষ্টে শত্রুর বিনাশ হয়ে ইমিউনিটি আরো দ্রুত শক্তিশালী থাকে। কিন্তু GMR যদি না দেওয়া হয় তাহলে সময় এবং কষ্ট কিছুটা বেশি হয়, যা অনেক সময়ই রোগী সহ্য করতে প্রস্তুত নন। যেমন- ধরেন, কারো এলার্জি-চুলকানি বা বাতব্যথা। এই কষ্টগুলো সাধারণত বহুদিন বা বছর রোগীরা ভুগে থাকেন। অনেক সময়ই রোগী আশেপাশের মানুষ, পরিবেশ দ্বারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে অধৈর্য হয়ে যান। কারণ এগুলোর তীব্রতা কম হলেও মানুষটি সাময়িক অস্থির চঞ্চল বিষন্ন থাকেন। এ সময় GMR বেশি খেলে যেমন কষ্টটি বাড়ে তেমনি অতি অল্প পরিমাণে ১বার খেলেও অন্তত কষ্টগুলো কম হয়। অর্থাৎ সেখানে GMR দিলে ৫ দিনের বদলে ৩দিনে এবং এক তৃতীয়াংশ কষ্ট হবে ।
আমার সব সময় চাওয়া মানুষ যেকোনোভাবে ঔষধমুক্ত থাকুক তাই আমি সব সময়ই চাই GM দেওয়ার পর কষ্ট সহ্য করে GMR মুক্ত থাকতে পারলে ভালো। তবে আলহামদুলিল্লাহ, GMR- এ আপনার জন্য ক্ষতিকর কোনো উপাদান নেই। তবে GMR যেহেতু GM কে রেগুলেট করে সুতরাং এটার মাত্রা বেশি হয়ে গেলে কষ্টগুলো অনেক সময় সাময়িক বেড়ে যেতে পারে।
GMR নিয়ন্ত্রণযোগ্য। যেমন- এটা বেশি খেয়ে বাড়লে কমায় দিলে কমবে। আবার বেশি প্রয়োজন হলে তখন বেশি খাওয়া যাবে, এটা রোগী চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে কখনো কম কখনো বেশি কখনো বা ২-৩দিন বন্ধ রাখতে পারে। তাই GMR প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় অনুপাতে GMR খাওয়া উচিত।
আপনি দেখবেন প্রতিটি মানুষই কম বেশি ঔষধের পিছনে বছরে কিছুটা হলেও টাকা খরচ করে। আমাদের চিকিৎসা কোটিপতির জন্য শুধু নয় বরং আমাদের প্রথম ভাবনা ওই মানুষগুলোর যারা দুবেলা ঠিকমতো খেতেও পায় না। আমাদের ঔষধ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি কিভাবে স্বল্প খরচ ও স্বল্প পরিমাণে গ্রহণেই ইউনিটি শক্তিশালী রাখা যায়। কিছু ঔষধ তো ৩০-৪০দিনের জন্য ২০-৩০ টাকাতেও দিতে পারছি, যা অবশ্যই বর্তমান যুগে অসম্ভব প্রায়।